National Butterfly Campaign^
Quest For The National Butterfly Of India.
কেন জাতীয় প্রজাপতি?
"প্রজাপতি, প্রজাপতি, কোথায় পেলে ভাই এমন রঙিন পাখা"- প্রকৃতির আপন খেয়ালে আঁকা এই শিল্পে সন্মোহিত হয়ে গোটাকয় চোখের পলক ভুলে আর ফেলা হয়নি, এই অভিজ্ঞতা আট থেকে আশি সবারই রয়েছে হয়তো। বাড়ির শখের বাগিচা থেকে ধানক্ষেত হয়ে নদীতীরের কাশফুল ছুঁয়ে বনের গভীরে কালচে সবুজ ঘেরা শেওলা পিচ্ছিল হ্যাংলা ঝর্ণার ঝিরঝিরি- রঙীন পাখার অধিকারীদের উন্মুক্ত আনাগোনা রয়েছে সর্বত্র। পরাগসংযোগে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য ভূমিকার পাশাপাশি পরিবেশের জৈব-সূচক হিসেবে স্বীকৃতি রয়েছে এদের। অর্থাৎ পরিবেশের বিভিন্ন খুঁটিনাটি উপাদানের সাধারণ তারতম্যও বড়সড় সমস্যা সৃষ্টি করে প্রজাপতিদের জীবনচক্রের বিভিন্ন পর্যায়ে। যার ফলে তারতম্য ঘটতে পারে নির্দিষ্ট কোনো বাস্তুতন্ত্রে প্রজাপতিদের সামগ্রিক সংখ্যার। যা পর্যবেক্ষণ করে গবেষকরা সহজেই আঁচ পেয়ে যান পরিবেশ দূষণের মতো গুরুত্ত্বপূর্ন ঘটনার। তা সত্বেও সংরক্ষণের দৃষ্টিকোণ থেকে বরাবরই এরা তুলনামূলকভাবে উপেক্ষিত। হয়তো তাই অতীতে পর্যায়ক্রমে আমাদের জাতীয় পশু, পাখী, ফুল বা ফল গৃহীত হলেও দেশের প্রায় ১৪০০ এরও বেশি প্রজাতির সম্ভার থেকে বেছে নেওয়া হয়নি ভারতের জাতীয় প্রজাপতি।
তাই এই গুরুত্ত্বপূর্ন কার্যে একজোট হয়ে এগিয়ে এসেছে সারা ভারতবর্ষের বিশেষজ্ঞ প্রজাপতিবিদ, গবেষক এবং প্রকৃতিপ্রেমীরা। গঠিত হয় "জাতীয় প্রজাপতি প্রচারনা সংস্থা" । প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন সুনির্দিষ্ট কিছু নির্ণায়ক মেনে সারা দেশের ১৪০০ এরও বেশি প্রজাতি থেকে ৫০ টি এবং অবশেষে ৭টি প্রজাপতি নির্বাচিত করা হয় সংস্থা কতৃক আয়োজিত বিভিন্ন পর্যায়ক্রমিক সভায়। পরবর্তী ধাপে এই ৭টি প্রজাপতি থেকে সারা দেশের জনগণের কাছ থেকে অনলাইন ভোট সংগ্রহ করে জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রজাপতির প্রজাতি এর নাম কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকে পাঠানো হবে অনুমোদনের জন্য। উল্লেখ্য, ভারতের জাতীয় প্রতীক গ্রহণের ক্ষেত্রে দেশব্যাপী ভোট সংগ্রহ করার এই গণতান্ত্রিক আয়োজন আমাদের দেশের ইতিহাসে এই প্রথম। দেশের সকল অংশের জনগণকে প্রজাপতি সহ বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের বার্তা প্রচারের পাশাপাশি ভারতের জাতীয় প্রজাপতি গ্রহণের এই অভূতপূর্ব নির্বাচনে সামিল হওয়ার অনুরোধ রইলো।
কিভাবে জাতীয় স্তরে চূড়ান্তভাবে সাতটি প্রজাপতি নির্বাচিত করা হয় ?
সারা ভারতবর্ষের বিশেষজ্ঞ প্রজাপতিবিদ, গবেষক এবং প্রকৃতিপ্রেমীরা জাতীয় প্রজাপতি প্রচারনা সংস্থা-র মঞ্চে একত্রিত হয়ে জাতীয় প্রজাপতি বাছাই করার জন্য নিম্নলিখিত মানদণ্ডগুলি গঠন করে এর ভিত্তিতে চূড়ান্ত ৭ টি প্রজাপতি জাতীয় স্তরে নির্বাচনের জন্য মনোনীত করা হয়।
নির্বাচিত প্রজাপতির -
১. সাংস্কৃতিক, পরিবেশগত এবং সংরক্ষণের দৃষ্টিকোণ থেকে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে
তাৎপর্য্যপূর্ন হওয়া বাঞ্ছণীয়।
২. দর্শনীয় হওয়া প্রয়োজন।
৩. কোনো অন্তর্নিহিত আকর্ষণীয় জৈবিক দিক থাকা প্রয়োজন।
৪. যাতে সহজেই শনাক্ত এবং প্রত্যক্ষ করা যায় ও সহজেই মনে রাখা যায়।
৫. বহুরূপতা বা একাধিক ধরণ বা ফর্ম না থাকা বাঞ্ছণীয়।
অনেক প্রজাপতির রূপ ঋতু অনুযায়ী পরিবর্তিত হয় যা বিভ্রম সৃষ্টি করতে পারে।
৬. শুঁয়োপোকা যেন মানুষের পক্ষে অনিষ্টকর না হয়।
৭. খুব সচরাচর দেখা যায় এরূপ হওয়া উচিত নয়।
৮. কোন রাজ্যের সরকার ‘রাজ্য প্রজাপতি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে (যেমন মহারাষ্ট্র, কর্নাটক), এরূপ প্রজাপতিকে জাতীয় প্রজাপতি নির্বাচিত করা যাবে না।
এই প্রচেষ্টায় কিভাবে অংশ নেবেন ?
এই লিংক এ আপনার ভোট প্রদান করুন এবং পরিচিত সবাইকে ভোট দানে উদ্বুদ্ধ করুন।
শেষ তারিখ ৮/১০/২০২০
সবার স্বতঃস্ফূর্ত প্রচেষ্টায় এবং অংশগ্রহণেই সাফল্যমন্ডিত হবে প্রকৃতিপ্রেমীদের এই সময়োপযোগী উদ্যোগ ।